নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প Shimla
ছবির নায়ক-নায়িকাদের শিডিউল না মেলায় পিছিয়ে পড়েছিলো ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ ছবির শুটিং। ছবির নায়িকা শিমলার সঙ্গে নায়ক মামুনের শিডিউল না মেলায় বিপাকে পড়েছিলেন পরিচালক।

তবে বিভিন্ন সমস্যায় এই ছবির শুটিং এতদিন আলোর মুখ না দেখলেও এবার দীর্ঘ বিরতির পর রাজধানীর পিয়াংকা শুটিং স্পটে ১০ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমার শুটিং। নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প শিরোনামের এ সিনেমার শুটিং চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এমনটাই বলেন সিনেমার পরিচালক রুবেল আনুশ।
এ প্রসঙ্গে রুবেল আনুশ বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং প্রায় শেষের দিকে। ঈদের আগে এক লটের শুটিং করব। ঈদের পরে শেষ লটের শুটংয়ের মাধ্যমে সিনেমার কাজ শেষ করব। ডাবিং ও এডিটিং প্রায় শেষ।’
এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন- ম্যাডাম ফুলিখ্যাত শিমলা ও ঘেটুপুত্র কমলাখ্যাত মামুন। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির কাহিনিও লিখেছেন আনুশ।
সিনেমা প্রসঙ্গে শিমলা সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন,’ অসম প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাগুলো বরাবরই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। উদাহারণ হিসেকে বলা যেতে পারে ভারতীয় সিনেমা ‘এক ছোটি সি লাভ স্টোরি’ এবং ‘নিশাব্দ’-এর কথা। তবে শিমলা মনে করেন বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নেই। সিমলা আরও বলেন, “সিনেমাতে এমন কোনো দৃশ্য নেই যাতে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। আমিও দর্শকের কথা মাথায় রাখি। এমন কোনো গল্পে কেন কাজ করবো, যা দর্শক গ্রহণ করবে না। তারপরও বিতর্ক হতেই পারে। আর নায়িকার কাজ নিয়ে তো আলোচনা- সমালোচনা হতেই পারে। এসব যদি নাই হলো, তবে কিসের নায়িকা আমি!”
‘পরিচালকের অসুস্থতার কারণে এতদিন শুটিং করা হয়নি। সিনেমাটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সিনেমার গল্পে ভিন্নতা রয়েছে। আশা করি, দর্শকের ভালো লাগবে।’
নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প চলচ্চিত্রে দেখা যাবে, ৩০ বছর বয়সি শিমলার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ১৮ বছরের তরুণ মামুন। আশা তিশা প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রে আরো অভিনয় করছেন- আবুল হায়াৎ, পুলক, বাপ্পী, লাবণী, সাদিয়া, আলিফ, মুসা, টুটুল চৌধুরী, আফরিন প্রমুখ।
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান ও মানিকগঞ্জে নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমার শুটিং করা হয়েছে।
কাহিনী সংক্ষেপ কলেজ পড়ুয়া এক তরুণের প্রেমে পড়ে যায় ত্রিশ বছর বয়সী একটি মেয়ে। কলেজ থেকে ফেরার পথে প্রায়ই একটি বাড়ির ছাদে প্রতিদিন মেয়েটিকে দেখে সেই তরুণটি। বাড়ির ছাদে যে মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তিনি বিদেশ থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এ পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরেছেন।